জলাবদ্ধতা ও রোগবালাই সহনশীল, পাতা নরম ও কম ঝাঁঝালো, প্রতি মাসে ৩-৫ টি পাতা হয়। প্রতি মিটার লতায় ১৩-১৪ টি পাতা হয়। রবি মৌসুমে প্রতি মাসে লতা ১৪.৪৬ সেমি এবং খরিফ মৌসুমে ২৪.১৫ সেমি. বৃদ্ধি পায়। বরিশালে এ পান ব্যাপকভাবে চাষ হয়।
ওজন=৪.৪৫ গ্রাম দৈর্ঘ্য=১৬.০৬ সেমি, প্রস্থ=১৩.৪৫ সেমি
পাতা নরম ও কম ঝাঁঝালো, প্রতি মাসে ৩-৫ টি পাতা হয়। ঋতুভেদে লতা প্রতি মাসে ১৪.৯৭-২৮.৩৬ সেমি লম্বা হয়। এটি বরিশাল অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য জাত।
মিঠাপান
রবি
ওজন=০.৫৬ গ্রাম, দৈর্ঘ্য=৭.৮৩ সেমি
ওজন=২.৫০ গ্রাম দৈর্ঘ্য=১০.৯ সেমি, প্রস্থ=৯.৮৬ সেমি
খরিফ
–
ওজন=গ্রাম দৈর্ঘ্য=১৬.০৬ সেমি, প্রস্থ=১৩.৪৫ সেমি
এ জাতটি প্রধানত চট্রগ্রাম ও মহেশখালী অঞ্চলে চাষ করা হয়। এ পান খুবই স্বাদ বলে বাজারে খুব চাহিদা রয়েছে। পাতা নরম ও কম ঝাঁঝালো, প্রতি মাসে ৩-৬ টি পাতা হয়। জাতটি খরা ও জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে। প্রতি মিটার লতায় ১৪-১৫ টি পাতা থাকে। ঋতুভেদে লতা প্রতি মাসে ১৪.৮৩-৩৬.৩৩ সেমি লম্বা হয়, যেখানে ৩-৬ টি পাতা উৎপন্ন হয়।
এ জাতটি মহেশখালী অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় জাত। রাজশাহীতে ও চাষ হয়। বিশেষ স্বাদ ও সুগন্ধ বিদ্যমান বলে মানুষের কাছে বিশেষ চাহিদা আছে। এক সময় পাকিস্তানে এ পান বেশ রপ্তানি হতো। সংরক্ষণকাল বেশি। এ পানটি পাতা পচা, পাতা পোড়া ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধক্ষম।
এ জাতটি রাজশাহী অঞ্চলে চাষ হয়। এ অঞ্চলের শতকরা ৯০ ভাগ জমিতে এ পান চাষ হয়। সবচেয়ে বেশী এ পান চাষ হয়। এই জাতের পাতার ফলক বড়, পাতলা, গোলাকার ও পাতাগ্র ছোট। পর্ব থেকে পর্বের মধ্যকার দূরত্ব বেশি, পাতার বোঁটা বেশ লম্বা, এর শাখা হয় না। ফলন সব থেকে বেশি। স্বাদও ভালো।
মিষ্টি পান
–
–
ওজন=৩.৬১ গ্রাম
এ পান ঝিনাইদহ ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় চাষ করা হয়। এ পানে ঝাঁঝ একেবারেই নেই, রোগবালাই প্রতিরোধক্ষম। পাতা বেশ মোটা, মাঝারি আকৃতির, পাতার শীর্ষ সূচালো। এ পানে ঝাঁঝ একেবারেই নেই। এটা উচ্চ ফলনশীল ও বোঁটা মাঝারি লম্বা। মাসে প্রতি গাছের গড় উৎপাদন ৩ টি পাতা।
এ পান যশোরের কালীগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায় প্রচুর চাষ করা হয়। এ পান সামান্য ঝাঁঝালো প্রকৃতির। মাসে প্রতি গাছের গড় উৎপাদন ২-৬ টি পাতা। বোঁটা ও লতা গোলাপি রঙের আড়াআড়ি দাগযুক্ত সবুজ রঙের। ঋতুভেদে লতার ব্যাস ০.৪ থেকে ০.৪৩ সেমি.। ঋতুভেদে প্রতি মাসে লতার বৃদ্ধি ১৪.৭৮-৩৮.১২ সেমি. ।
এ পান ভোলা জেলায় চাষ করা হয়। এ পান খুব ঝাঁঝালো প্রকৃতির। মাসে প্রতি গাছের গড় উৎপাদন ৩-৫ টি পাতা। বোঁটা ও লতা গোলাপি রঙের আড়াআড়ি দাগযুক্ত সবুজ রঙের। ঋতুভেদে লতার ব্যাস ০.৩২ থেকে ০.৩৯ সেমি.। ঋতুভেদে প্রতি মাসে লতার বৃদ্ধি ১৬.৪৬-২৬.৭৩ সেমি. ।
এ পান চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল (যশোর) ও বাগেরহাট অঞ্চলে চাষ হয়। এ পান নরম ও মধ্যম ঝাঁঝালো প্রকৃতির। প্রতি মিটার লতায় গড় উৎপাদন ১৫-১৬ টি পাতা। বোঁটা সবুজ রঙের কিন্তু লতা আড়াআড়ি গোলাপি দাগযুক্ত সবুজ রঙের। অঞ্চলভেদে লতার ব্যাস ০.৩৮ থেকে ০.৩৯ সেমি.।
ভাওলা
–
বোঁটা ছোট
ওজন=৩.৩৬ গ্রাম
এ পান ময়মনসিংহ অঞ্চলে চাষ হয়। পাতা সবুজ বর্ণের, মাঝারি আকারের, পুরু, ডিম্বাকৃতি, পাতার শীর্ষ সূচালো এবং বোঁটা ছোট। প্রতি মাসে গাছপ্রতি গড় উৎপাদন ২ টি পাতা।
রংপুরী পান
–
বোঁটা মাঝারি লম্বা
ওজন=২.৭৯ গ্রাম
এ পান রংপুর অঞ্চলে চাষ হয়। পাতা মাঝারি আকারের। প্রতি মাসে গাছপ্রতি গড় উৎপাদন ২ টি পাতা।
সন্তোষী
রবি
দৈর্ঘ্য=৫.৮১ সেমি. ওজন=০.৬০ সেমি.
ওজন=২.৭৯ গ্রাম দৈর্ঘ্য=১২.৯ সেমি. প্রস্থ=১০.২০ সেমি.
খরিফ
দৈর্ঘ্য=৫.৯২ সেমি. ওজন=০.৬৫ সেমি.
ওজন=২.৭৯ গ্রাম দৈর্ঘ্য=১৫.৫৫ সেমি. প্রস্থ=১০.৩৭ সেমি.
এ পান নবাবগঞ্জ এলাকায় চাষ হয়। পাতা মধ্যম ঝাঁঝালো ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গন্ধযুক্ত। মাঝারি আকারের। প্রতি মিটার লতায় গড় উৎপাদন ১১-১৩ টি পাতা। বোঁটা গোলাপি বর্ণের। লতা হালকা গোলাপি থেকে গোলাপি।লতার ব্যাস ০.৪১-০.৪৯ সেমি.।
জাইলো
সকল
দৈর্ঘ্য=৫.৪৫-৬.০৩ সেমি. প্রস্থ=০.৪৪-০.৫৬ সেমি. ওজন= ০.৪৫ গ্রাম
ওজন=৩.০৭-৪.০২ গ্রাম দৈর্ঘ্য=১১.৫-১৬.০৫ সেমি. প্রস্থ=১০.২৯-১২.২৬ সেমি.
এ পান বাগেরহাট অঞ্চলে চাষ হয়। পাতা নরম ও অত্যন্ত ঝাঁঝালো প্রকৃতির। মাঝারি আকারের। প্রতি মিটার লতায় গড় উৎপাদন ১৪-১৫ টি পাতা। বোঁটা গোলাপি বর্ণের। লতার রং আড়াআড়ি হালকা গোলাপি দাগযুক্ত সবুজ। লতার ব্যাস ০.৩৬ সেমি.।
খাসিয়া পান
–
ওজন=০.৩৩ সে. দৈর্ঘ্য=৩.৩৮ সেমি ব্যাস=০.৩৫ সেমি
ওজন=৪.০৬ গ্রাম দৈর্ঘ্য=১৬.২১ সেমি. প্রস্থ=১১.৮২ সেমি.
এ পান মৌলভীবাজার অঞ্চলে চাষ হয়। সিলেটে সুপারি গাছের নিচে এ পান গাছ রোপণ করা হয়। খাসিয়ারা ১২ টি পান দিয়ে একটি গুছি বানায়। বারো গুছি একত্র করে একটি কান্তাই বানায়। পাতা কড়া ঝাঁঝালো। চাহিদা ও বাজারমূল্য বেশি। প্রতি মিটার লতায় গড় উৎপাদন ৭-৮ টি পাতা। বোঁটা ও লতার রং সবুজ।