লবনাক্ত এলাকায় তুলার চাষঃ
· বার্লির পরেই তুলার লবনাক্ততা সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে;
· কোন প্রকার ফলন ঘাটতি ছাড়াই ১১ ডিএস পর্যন্ত লবনাক্ততা সহ্য করতে পারে;
· ৫০% ফলন ঘাটতিতে ১৭% পর্যন্ত লবনাক্ততা সহ্য করতে পারে;
এগ্রোফরেষ্ট্রি পদ্ধতিতে তুলার চাষাবাদঃ
উঁচুজমির তুলা চাষের ক্ষেত্রেঃ
হরমোন প্রয়োগঃ
গাছরে ফুল, কুড়ি ও বোল সংখ্যা বৃদ্ধরি জন্য ৫০–৬০ দনি বয়সরে পর থকেে ৭–১০ দনি পর পর ৩–৪ বার হরমান যেমন প্লানোফক্স/ফ্লোরা ইত্যাদি গাছরে পাতায় প্রয়োগ করা হলে অধকি ফলন পাওয়া যায়। গাছরে পাতা সবুজ রাখার জন্য সালফার সার প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম মিশিয়ে প্রয়োগ করা যতেে পারে।
অন্তঃর্বতীকালীন পরর্চিযাঃ
(১) শূন্যাস্থান পূরণ (গ্যাপ ফিলিং):
বীজ বপনের ৭–৮ দিনের মধ্যে যে সব হলিে (গর্তে/মাদায়) চারা গজায় নাই সে সকল মাদায় বা তার র্পাশ্বে পুনরায় বীজ বপন করতে হবে। বীজ বপনের সময় জমির কিনারায় কিছু অতিরিক্ত বীজ বপন করে বাড়তি চারা উৎপাদন করলে পরবর্তীতে উক্ত চারা দ্বারা সহজইে গ্যাপ ফিলিং করা যায়। চারা উঠিয়ে গ্যাপ ফিলিং বৃষ্টি বা মেঘলা দিনে করা উত্তম।
(২) চারা পাতলা করণ ও আগাছা দমনঃ
চারা গজানোর ১০ দিনের মাথায় প্রতি মাদায় ২টি এবং ২০ দিনের মধ্যে প্রতি মাদায় ১টি করে সুস্থ সবল চারা রেখে বাকী চারা তুলে ফেলতে হবে। চারা পাতলা করনের সময় হাত/কাঁচি/কোদাল দ্বারা আগাছা দমন করতে হবে। গাছে পুরোদমে ফুল না আসা র্পযন্ত র্অথাৎ বপনরে ৬০–৭০ দিন র্পযন্ত জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। আগাছানাশক ব্যবহার করেও আগাছা দমন করা যেতে পারে, তবে আগাছানাশক নির্বাচন এবং এর প্রয়োগের ক্ষত্রেে সর্তকতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
(৩) গোড়া মাটি দ্বারা বেঁধে দেয়াঃ
বীজ বপনের ৪০ দিন পর ১ম বার র্অথ্যাৎ ২য় ইউরিয়া সারের র্পাশ্ব প্রয়োগের সময় এবং আবার বীজ বপনের ৬০ দিন পর ২য় বার র্অথ্যাৎ ৩য় ইউরিয়া সারের র্পাশ্ব প্রয়োগের সময় গাছের গোড়া মাটি দিয়ে ভাল করে বেঁধে দিতে হবে। কোদাল দ্বারা দু’সারির মাঝের মাটি টেনে গাছের গোড়া বাঁধার কাজটি করা যেতে পারে। ফলে গাছ সহজে ঢলে পড়বে না এবং জমি থকেে পানি নিষ্কাশন ও মাটিতে পরিমিত রস ধরে রাখা সহজ হবে।
(৪) সেচ ও নিষ্কাশনঃ
উপযুক্ত সময় (৩০, জুলাই এর মধ্যে) বীজ বপন করলে তুলা ফসলে কদাচিৎ সেচের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। কিন্তু নাবীতে বপন করার কারনে যদি নভেম্বর/ডিসেম্বর মাসে জমিতে রস কমে যায় তবে ১/২টি হাল্কা সেচের প্রয়োজন হতে পারে। তুলার জমিতি বোল ফাঁটা শুরু করা র্পযাপ্ত যাতে পরিমিত রস থাকে তা নিশ্চিত করা দরকার। সাধারনত গাছের বয়স ৫ মাস হলে আর সেচ দেয়া উচিত নয়, এতে ফসল নাবী হওয়ার আশংকা থেকে মুক্ত থাকবে।
তুলা গাছ কোন বয়সেই জমে থাকা পানি ২–৩ দিনের বশেী সহ্য করতে পারে না। চারা অবস্থায় পানি নিষ্কাশনের দিকি অধিক নজর দিতে হবে, তা না হলে গাছের গোড়াপঁচা রোগ হওয়ার আংশকা থাকে। জমি সবসময় ভিজা, স্যাঁতসেঁতে থাকলে গাছের কুঁড়ি, ফুল ও ফলঝরে যায়। এরূপ অবস্থায় জমি থেকে অতিরিক্ত পানি অপসারণের মাধ্যমে শুকানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
(৫) অঙ্গ ছাটাই ও ডগা র্কতনঃ
অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দেখা যায় যে, তুলা গাছের গোড়ার দিকে ১–২টি অংগজ শাখা কেটে দিলে গাছের উপরাংশের ফলধারী শাখা–প্রশাখার বিকাশ ও বৃদ্ধি ভাল ঘটে। আলো বাতাসের চলাচল বাড়ে এবং রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমন কম হয় ফলে ফলন বৃদ্ধি পায়।
(৬) রগিং বা অবাঞ্চিত জাতের গাছ তুলে ফেলাঃ
যে জাতের তুলাচাষ করা হয় সে জাত ভিন্ন অন্য জাতের তুলা গাছকে ‘রগ’ বা অবাঞ্চিত জাতের গাছ বলে৷ অবাঞ্চিত জাতের গাছগুলো ফুল ফোটার পূর্বে তুলে ফেলাকে ‘রগিং’ বলে৷ জাতের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য ‘রগিং’ অতি জরুরী৷
উৎসঃ তুলা উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২১