তিলের জাত পরিচিতি

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) কর্তৃক উদ্ভাবিত জাতসমূহের বর্ণনা

জাতের নাম	ক্লিক করুন	জীবনকাল (দিন)	ফলন (কেজি/বিঘা)
টি ৬		৮৫-৯০	১২৬.৭-১৪৬.৭
		বীজ চ্যাপ্টা, মাঝারী ধরণের। হাজার বীজের ওজন ২.৫-২.৭ গ্রাম। বীজের রং কালো। বর্তমানে রোগ-বালাই ও পোকামাকড় বেশি হয বিধায় জাতটি আবাদে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। খরিফ ও রবি উভয় মৌসুমে চাষ করা গেলেও খরিফ মৌসুম বেশি উপযোগি।
বারি তিল ২		৯০-১০০	১৬.০-১৭৩.০
		বীজ ত্বক কালো ধরণের। প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা ৬০-৭০ টি এবং প্রতি ফলে বীজের সংখ্যা ৬০-৭০ টি। নিচের পাতাগুলি অপেক্ষাকৃত চওড়া। উপরের দিকে পাতাগুলো চিকন হয়ে বর্শাকৃতি ধারণ করে। ফুলের রং গোলাপি। আগাম চাষের উপযোগী (মাঘ/ফাল্গুন) জাত।
বরি তিল ৩		৯০-১০০	১৬০.০-১৮৬.৬
		কান্ড, শাখা ও প্রশাখা লোমহীন। পাতা গাঢ় সবুজ ও খসখসে। প্রতি গাছে ৩-৫ টি প্রাথমিক শাখা থাকে। শাখাগুলি প্রধান কান্ডের একটু উপরে জন্মায়। প্রতিটি শাখায় ২-৩ টি প্রাথমিক শাখা জন্মায়। ফুলের রং হালকা গোলাপি। প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা ৬০-৬৫ টি, ফল ৪ প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট  এবং বীজের সংখ্যা ৫০-৫৫ টি। বীজ ত্বক গাঢ় লালচে।
বরি তিল ৪		৯০-৯৫	১৮৬.৬-২০০.০
		প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা ৮৫-৯০ টি, ফল ৮ প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট  এবং বীজের সংখ্যা বারি ২ ও বারি ৩ এর তুলনায় ২০-৪০% বেশী। বীজের ত্বক গাঢ় লালচে বর্ণের। জাতটি পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের আক্রমণ সহিষ্ণু। খরিফ মৌসুমে (মধ্য ফেব্রুয়ারী-মধ্য এপ্রিল) চাষের উপযুক্ত সময়।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) কর্তৃক উদ্ভাবিত জাতসমূহের বর্ণনা
বিনা তিল-১		৮৫-৯০	৪.৬৪ মণ
		গাছে শাখা গজায় না। প্রতি গিটে ৩-৫ টি বড় ফল থাকে। কনফেকশনারীতে বীজের খোসা না ছাড়িয়েই ব্যবহার করা যায়
বিনা তিল-২		৮৬-৯২	৬.৪৩ মণ
		গাছে শাখা গজায়। সাময়িক জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে। ক্যাটারপিলারের আক্রমণ কম হয়। খরিফ-১ (মধ্য ফেব্রুয়ারী থেকে মধ্য মার্চ সময়ে বপন করা যায়। উঁচু ও বালি মাটিতে ভাল জন্মে। প্রতি গিটে ৩-৫ টি বড় ফল থাকে। বীজে তেলের পরিমাণ ৪৪%।
বিনা তিল-৩		৮৫	৫.৩৬ মণ
		শিকড় পচা রোগ প্রতিরোধী জাত।বীজে তেলের পরিমাণ ৩৫-৪০%। সারাদেশে চাষের উপযোগী।

তথ্যসূত্রঃ ১। কৃষি প্রযুক্তি হাত বই (৬ষ্ঠ সংস্করণ), বারি, গাজীপুর এবং
             ২। উন্নত কৃষি প্রযুক্তি পরিচিতি এবং www.bina.gov.bd, বিনা, ময়মনসিংহ