[slider width=”100%” height=”100%” class=”” id=””]
[slide type=”image” link=”” linktarget=”_self” lightbox=”yes”]http://agrivisionbd.com/wp-content/uploads/2015/11/blackband.jpg[/slide]
[/slider]
রোগের লক্ষণঃ
কালো পট্রি রোগের লক্ষণ প্রায় কান্ড পচা রোগের মতই। তবে এতে কান্ডে কাল রং এর বেষ্টনীর মত দাগ পড়ে। আক্রান্ত স্থানে ঘষলে হাতে কালো গুড়ার মত দাগ লাগে। সাধারণতঃ গাছের মাঝামাঝি বয়স থেকে রোগ বেশী দেখা দেয়। এ রোগে গাছ ভেঙ্গে পড়ে না তবে গোটা গাছটি শুকিয়ে মরে যায়, ফলে আঁশ নিম্নমানের হয় ও ফলন কম হয়। সাধারণত তোষা পাটে এ রোগের প্রকোপ বেশী দেখা যায়। খরার সময় এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশী হয়। সাধারণত জুন মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্তে এ রোগের প্রকোপ দেখা যায়।
রোগ দেখা দেয়ার পূর্বে করণীয়ঃ
০. বীজ বপনের আগে বীজ শোধন করে নিতে হবে। বীজ শোধনের জন্য ভিটাভেক্স ২০০ (০.৪%)/প্রোভেক্স-২০০ (০.৪%) এর ব্যবহারে যথেষ্ট সুফল দেয়। পাটের প্রধান ছত্রাকজনিত রোগগুলো বীজ ও মাটি বাহী। বপনের আগে বীজ শোধনের ফলে রোগের প্রকোপ অনেক কমে যায়। শোধন করা সম্ভব না হলে বপনের আগে বীজ রোদে ভালভাবে শুকাতে হবে।
১. পাটের জমির পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন
২.আক্রান্ত জমিতে ২-৩ বছর দেশি পাটের আবাদ না করে তোসা পাটের আবাদ করা যেতে পারে।
৩. জমি পরিষ্কার পরিছন্ন এবং আগাছা ও আর্বজনামুক্ত রাখতে হবে।
৪. নীরোগ পাট গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। গাছের ৭০% ফল পাকলেই বীজ কেটে ফেলা উচিত। দেরী করলে ছত্রাক সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
রোগ দেখা দেয়ার পর করণীয়ঃ
১. শুরুর দিকে আক্রান্ত গাছগুলোকে তুলে দূরে মাটিতে পুতে ফেলে কিংবা পুড়ে ফেলে এ রোগ দমন করা যায়।
২. মেনকোজেন গ্রুপের ছত্রাক নাশক যেমন: ডাইথেন এম-৪৫ প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম মিশিয়ে গাছের গোড়ায় পর পর দু’দিন প্রয়োগ করলে রোগের ব্যাপকতা কমে যায়।
তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই), ঢাকা এবং Farmer’s window
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২১