ক্ষতির প্রকৃতি:
এ পোকা গাছকে আংশিক বা সম্পুর্ণ পাতাশুন্য করে ফেলে। আনেক সময় মারাত্বক আক্রমনে গাছে ফল আসেনা।
পোকার আক্রমণের পূর্বে করণীয়ঃ
- আম গাছ সর্বদা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
পোকার আক্রমণের পর করণীয়ঃ
- প্রাথমিকভাবে আমের পাতায় ডিমের গাদা বা পোকা দেখলে তা তুলে ধ্বংস করা;
- আক্রমণের প্রথম অবস্থায় কীড়াগুলো যখন পাতায় দলবদ্ধ অবস্থায় থাকে তখন পোকা সমেত পাতাটি তুলে পায়ে মাড়িয়ে বা গর্তে চাপা দিয়ে মারা বা কেরোসিন মিশ্রিত পানিতে ডুবিয়ে মারা যায়;
- ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন এবং একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন।
- বিছাপোকা অতিরিক্ত মাত্রায় দেখা গেলে কীটনাশক ছিটানো যাবে, যেমনঃ
কীটনাশকের গ্রুপের নাম | বানিজ্যিক কীটনাশকের কতিপয় নমূনা ও অনুমোদিত মাত্রা |
ল্যামডা-সাইহ্যালোথ্রিন | ক্যারাটে ২.৫ ইসি; অথবা জুবাস ২.৫ ইসি; অথবা ফাইটার প্লাস @ ১ মিলি/লি. হারে পানিতে মিশিয়ে গাছে ভালভাবে স্প্রে করা যেতে পারে |
কার্বারিল | সেভিন ৮০ wp (ap-৩৩৮) @ ৩.৪ গ্রাম/লি. পানি হারে মিশিয়ে গাছে ভালভাবে স্প্রে করা যেতে পারে |
সাইপারমেথ্রিন | কট ১০ ইসি (এপি-৬৩৯); অথবা রিপকর্ড ১০ ইসি; অথবা সিমবুশ ১০ ইসি; অথবা শেফা ১০ ইসি (এপি-১০৭৯) @ ১ মিলি/লি. পানি হারে মিশিয়ে গাছে ভালভাবে স্প্রে করা যেতে পারে |
নোটঃ ক্যারাটে, রিপকর্ড ভাল কাজ করে বলে কৃষকগণ হতে জানা যায়।
তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), গাজীপুর এবং Farmers’ window
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২১