রোগ আক্রমণের লক্ষণ:
আক্রান্ত চারার গোড়ার চারদিকে পানিভেজা দাগ দেখা যায় । গোড়ার সাদা ছত্রাকজালি ও অনেক সময় সরিষার মত ছত্রাকের অনুবীজ পাওয়া যায় । শিকড় পচে যায়, চারা নেতিয়ে পড়ে গাছ মারা যায় । স্যাতস্যাতে মাটি ও মাটির উপরিভাগ শক্ত হলে রোগের প্রকোপ বাড়ে । রোগটি মাটিবাহিত বিধায় মাটি, আক্রান্ত চারা ও পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে।
[slider width=”100%” height=”100%” class=”” id=””]
[slide type=”image” link=”” linktarget=”_self” lightbox=”yes”]http://agrivisionbd.com/wp-content/uploads/2015/12/wilting-1.jpeg[/slide]
[/slider]
সমন্বিত ব্যবস্থাপনাঃ
রোগ হওয়ার আগে করণীয়ঃ
- আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না
- একই জমিতে পর পর বার বার গাজর চাষ করবেন না
- প্রতি বীজতলায় হেঃ প্রতি ২.০ টন ট্রাইকো-কম্পোস্ট ব্যবহার করা;
- বপনের আগে প্রতি কেজি বীজে ২-৩ গ্রাম প্রোভ্যাক্স বা কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে বীজ শোধন করে নিন।
- লাল মাটি বা অম্লীয় মাটির ক্ষেত্রে শতাংশ প্রতি চার কেজি হারে ডলোচুন প্রয়োগ করুন (প্রতি তিন বছরে একবার)
- বীজ বপনের আগে বীজতলায় বা ক্ষেতে শুকনো কাঠের গুড়া ৩ ইঞ্চি পুরু করে বিছিয়ে পোড়ানো
- মাটি সোলারাইজেশন করা- রোদের সময় মাটি পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা;
- পরিমিত সেচ ও পর্যাপ্ত জৈব সার প্রদান করা ও পানি নিস্কাশনের ভাল ব্যবস্থা রাখা
- সরিষার খৈল ৩০০ কেজি/ হেঃ হারে জমিতে প্রয়োগ করা;
- দিনের বেশির ভাগ সময় ছায়া পড়ে এমন জমিতে গাজর চাষ করবেন না।
রোগ হওয়ার হলে করণীয়ঃ
- আক্রান্ত গাছ তুলে ক্ষেত পরিস্কার করা
- প্রতি লিটার পানিতে ইপ্রোডিয়ন বা কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: রোভরাল ২ গ্রাম বা ব্যাভিস্টিন ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করে মাটিসহ ভিজিয়ে দেয়া।
- ফসল কাটার পর আক্রান্ত জমি ও তার আসে-পাশের জমির নাড়া পুড়িয়ে দিন।
তথ্যসূত্রঃ ১। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এবং ২। Farmer’s Window
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২১