ফলন মাত্রা, মৌসুম ও মাটির উর্বরতা-ভিত্তিক সার প্রদানের সুপারিশ (মধ্যম উর্বর জমির জন্য): রোপা আ্উশের ফলনমাত্রা: ৩.৬-৪.৪ টন/হেঃ, রোপা আমনের ফলনমাত্রা: ৪.৫-৫.৫ টন/হেঃ, বোরো ফসলের ফলনমাত্রা: ৬.৭৫-৮.২৫ টন/হেঃ হিসেবে সারের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সারের নাম /মৌসুমের নাম |
সারের পরিমাণ | ||
রোপা আউশ | রোপা আমন | বোরো ধান | |
জৈব সার | ৪৫ কেজি | ৪৫ কেজি | ৬০ কেজি |
ইউরিয়া | ০.৩৩৭ কেজি | ০.৪০৫ কেজি | ০.৭৫ কেজি |
টিএসপি | ০.১২ কেজি | ০.১৫ কেজি | ০.৩ কেজি |
এমওপি/পটাশ | ০.১৮ কেজি | ০.২০২ কেজি | ০.৩৮ কেজি |
জিপসাম | ০.০৯৯ কেজি | ০.১৩৫ কেজি | ০.২০২ কেজি |
দস্তা | ১০ গ্রাম | ১০ গ্রাম | ১৫ গ্রাম |
বোরণ | ০ গ্রাম | ০ গ্রাম | ০ গ্রাম |
– টেবিলে প্রদত্ত সারের মাত্রা এলাকা ও মৃত্তিকার ভিন্নতার কারণে পরিবর্তন হতে পারে।অধিকতর তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন।
সার প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
জৈব সারঃ চারা রোপনের ৭-১০ দিন পূর্বে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া। পরিমাণমত এ সার দিলে তিন ভাগের ইউরিয়া সার কম লাগবে।
ইউরিয়াঃ তিনভাবে প্রয়োগ করা যায়, ১) ছিটিয়েঃ এক্ষেত্রে তিন কিস্তিতে প্রয়োগঃ ক) শেষ চাষের সময়; খ) ধান রোপণের ২৫-৩০ দিন পর (৪-৫টি কুশি অবস্থায়); গ) কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে। তবে জীবনকাল ১৫০ দিনের বেশী হলে তিন ভাগের এক ভাগ মাটির সাথে মিশিয়ে এবং বাকী অংশ সমান হারে তিন বারে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।টিএসপি, জিপসাম, দস্তা=শেষ চাষের সময় মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এমওপি সারের তিন ভাগের দুই ভাগ মাটির সাথে, এক ভাগ উপরি প্রয়োগ করলে ভাল হয়।দস্তার অভাব মেটানোর জন্য ২% জিংক অক্সাইড সলুশনের মধ্যে চারার গোড়া ১৫-২০ মিনিট ডুবিয়ে রেখে রোপণ করা যেতে পারে। অথবা ধান গাছে জিংক সালফেট ০.৫% হারে স্প্রে করা যায়।
২) এলসিসি ব্যবহার করে এবং ৩) গুটি ইউরিয়া হিসেবে প্রয়োগ করা যায়।
এক মন ধান উৎপাদন করতে ১৮-২০ কেজি ইউরিয়া, ২-৩ কেজি টিএসপি ও ৩-৪ কেজি পটাশ সার অপসারিত হয়।
তথ্য সূত্রঃ আধুনিক ধানের চাষ (অষ্টাদশ সংস্করণ মে ২০১৫), ব্রি, গাজীপুর